বাংলা হাস্যরসের ধারাটি আজ সরস্বতী নদীর মতো শুষ্ক হয়ে যাওয়ার মুখে। অথচ একসময় বাংলা গদ্য সাহিত্যে হাস্যরস একটি স্বতন্ত্র স্থান অধিকার করে নিয়েছিল। এমনকী কাব্য এবং নাটকেও হাসির আয়োজন ছিল পর্যাপ্ত। অনতিঅতীতেও সাহিত্যের হাস্যরস বাঙালি পাঠক-পাঠিকাকে প্রভূত আনন্দ দিয়েছে। রঙ্গ-ব্যঙ্গের প্রবণতা মানুষের সহজাত। হাসি আমাদের জীবনে ভেতরে ঢোকার এবং বাইরে বেরোবার দরজা। স্বাদু, রম্যময় হাস্যমুহূর্ত যখন ক্রমশ দুর্লভ হয়ে আসছে, সেই সময়ে তারাপদ রায়ের মতো হাতে-গোনা কয়েকজন স্রষ্টা রসরসিকতার প্রবাহটিকে নিজের মতো করে ধরে রেখেছেন। এই লেখকের কাণ্ডজ্ঞান, বিদ্যাবুদ্ধি, বুদ্ধিশুদ্ধি ইত্যাদি গ্রন্থের প্রবল জনপ্রিয়তাই বলে দিচ্ছে, পৃথিবী জুড়ে নানা সংকট ঘনিয়ে আসা সত্ত্বেও মানুষ তার নিত্যদিনের জীবনে একটু হাসতে চায়, পেতে চায় সামান্য রম্যতার স্পর্শ। সেই ধারাতেই ‘বালিশ’ নবতম সংযোজন। অতিচেনা বিষয় নিয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা হাস্যরসাত্মক চূর্ণ গল্পগুলিকে জড়ো করে লেখক পরম নিপুণতায় এই গ্রন্থে পরিবেশন করেছেন। বারংবার পড়ার মতো, মনে রাখার মতো এবং অন্যকে বলার মতো এক অনবদ্য রম্যসংগ্রহ।
[Source: Ananda Publishers]
Reviews
There are no reviews yet.