বাণী বসুর সামগ্রিক সৃষ্টির সঙ্গে যাঁরা পরিচিত তাঁরা জানেন, লেখিকা মানব চরিত্র ও সমাজে মানুষের অবস্থান নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করেন। সেই অনুভবী ভাবনা এই রচনায় ভিন্ন মোড় নিয়েছে। রসবোধ এই ব্যতিক্রমী উপন্যাসের মূলসুর। জীবনযাপনে, মানুষের প্রতিদিনের কাজেকর্মে, চরিত্রের প্রকাশে যে-হাস্যময় রসের ধারা প্রবাহিত হচ্ছে, তাকে অনুপম কুশলতায় লিপিবদ্ধ করা দুরূহ। সেই দুরূহতাকে যেন অবলীলায় অতিক্রম করেছে ‘দিদিমাসির জিন’। এই উপন্যাসে রচরিত্রগুলি আমাদের চেনা, তিন-চার প্রজন্ম ধরে তাদের ব্যাপ্তি। আছেন রাশভারি অধ্যাপক গঙ্গাপ্রসাদ ও তাঁর পরিবেশ। রয়েছেন তাঁর স্বভাবস্বতন্ত্র গৃহিণী কাজলরেখা, আজকালকার নতুন ছেলেমেয়েরা—তীর্ণা, অনীক, রাংতা, গোপাল আর যশজিৎ। সর্বোপরি আছেন ফেলে-আসা-সময়ের প্রতিনিধি এক রসিক বৃদ্ধা—সরলাবালা। সকলের দিদিমাসি। তিনি ছড়া কাটেন, পিঠে গড়েন, পাঁচালি লেখেন। আবার তিনি তরুণ প্রজন্মের চেয়েও আধুনিক। প্রবীণ প্রজন্মের চেয়েও প্রাচীন। সংস্কার মুক্ত সংস্কৃতির একক বাহক। এই নবীন প্রাচীনাকে লেখিকা ধরেছেন রস-রসিকতার আধারে, বারবার পটবদলানো এক প্রেক্ষিত সমেত।
[Source: Ananda Publishers]
Reviews
There are no reviews yet.