পুরো বাড়িটার ঘুম ভাঙিয়ে মাঝরাত্তিরে এল ফোনটা। প্রথমটায় অরিত্র ভেবেছিল নির্ঘাৎ কোনও ভুতুড়ে কল, কিংবা সস্তা রসিকতা। কিন্তু ধরব-না ধরব-না করেও অবশেষে একসময় ফোনটা ধরতেই হল অরিত্রকে। আর তখনই বিস্ময়ের ধাক্কা। ফোনের অপরপ্রান্তে যে-তরুণীর বিপন্ন কণ্ঠ, সন্দেহ নেই, অরিত্র চ্যাটার্জিকেই চাইছে সে। তার মা রত্নাবলী চৌধুরী হঠাৎই নাকি দারুণ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। জ্বরের ঘোরে বারবার তাঁর মুখে অরিত্রর নাম। মায়ের ডায়েরি থেকেই মেয়েটি তাড়াতাড়ি খুঁজে বার করেছে অরিত্রর ফোন নম্বর। অরিত্র যদি একবার অন্তত আসে! সল্ট লেকের ঠিকানাটাও জানিয়ে দিয়েছে মেয়েটি। অরিত্র অবাক। কিছুতেই মনে পড়ছে না, রত্নাবলী কিংবা তাঁর স্বামীকে সে আদৌ চেনে কিনা। অথচ কেন রত্নাবলীর ডায়রিতে অরিত্রর ফোন নম্বর? কীভাবে? এক তরতরে গতিময় কাহিনিতে একদিকে যেমন এই যাবতীয় কৌতূহলের অবসান, অন্যদিকে আধুনিক জীবনের একাকীত্বের নিভৃত জায়গাটির অতি কুশলী উন্মোচন।
[Source: Ananda Publishers]
Reviews
There are no reviews yet.