মহারাজাধিরাজ সমুদ্রগুপ্তের পর গুপ্তসাম্রাজ্যের শাসনভারের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে তাঁর সুযোগ্য মধ্যমপুত্র কুমার চন্দ্রগুপ্তকে, এমনই ঠিক ছিল।
চন্দ্রগুপ্ত তখন মালবদেশে, কর্তব্য পালনে ব্যাপৃত। প্রয়াত হলেন সমুদ্রগুপ্ত। মাথা তুলে দাঁড়াল রাজপ্রাসাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি আর ষড়যন্ত্র। গুপ্তসাম্রাজ্যেরই এক বিশ্বাসঘাতক রাজপুরুষের হাত ধরে শকাধিপতি রুদ্রসিংহ ভয়ংকর নৃশংসতার জাল বুনতে শুরু করলেন।
সিংহাসনে বসলেন শারীরিকভাবে অক্ষম, মদ্যপ জ্যেষ্ঠপুত্র রামগুপ্ত। গুপ্তসাম্রাজ্যের মহাদেবী হয়ে এলেন মালবরাজকুমারী ধ্রুবা। ধ্রুবা চন্দ্রগুপ্তের প্রেয়সী!…শকরাজ রুদ্রসিংহ। তাঁর লোলুপ দৃষ্টি অসামান্যা সুন্দরী ধ্রুবার দিকে।… ষড়যন্ত্রকারীদের ফাঁদে পা দিলেন রামগুপ্ত। সপরিবার অবরুদ্ধ হলেন পার্বত্য দুর্গ অঞ্চলে। রুদ্রসিংহর একটিই শর্ত, রানি ধ্রুবাকে তাঁর চাইই চাই। কী ঘটল তারপর…? ধ্রুবা কি নারীত্বের চরম অবমাননা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারলেন? চন্দ্রগুপ্ত কি তাঁর রাজ্য এবং রাজলক্ষ্মীকে বাহুবলে পুনরুদ্ধার করতে সফল হলেন?
ইতিহাস সুরভিত ‘মহাদেবী’ এক ভাগ্যবিড়ম্বিতা নারীর কাহিনি শুধু নয়…সুগন্ধি প্রেম, ক্রুরতা, আত্মত্যাগ এবং দুর্জয় বীরত্বের মহৎ উপন্যাস।
[Source: Patra Bharati]
Reviews
There are no reviews yet.