ময়ূরাক্ষী। নামের মতোই কল্লোলিনী, জীবনের সবুজ উল্লাসে ভরপুর এক যুবতী। তিন চিত্রকর বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিল পলাশীর কাছাকাছি মীরপুরে, এক স্বপ্নের গ্রামে। সে-গ্রামের শস্যক্ষেত্রে নাকি প্রতি পূর্ণিমায় নেমে আসেন দেবী লক্ষ্মী। এই অদ্ভুত বিশ্বাসের জগতে, হরিদ্বর্ণী প্রাণের জগতে ফুলের সুগন্ধের মতো নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছিল ময়ূরাক্ষী। একটু-যা ব্যথিত হয়েছে সুনীত, ময়ূরাক্ষীর প্রেমিক। একান্তভাবে প্রেমিকাকে কাছে পায়নি সে, তাই বেদনা। মীরপুর থেকে ফেরার পথে ঘটল বিধ্বংসী দুর্ঘটনা। দুই বন্ধুর মৃত্যু বাক্স্তব্ধ করে দিল ময়ূরাক্ষীকে। বহু চেষ্টা করেছে সুনীত প্রেমিকাকে কথা বলাতে। চেষ্টা করেছে ময়ূরাক্ষীর বাবা-মা-ভাই-বোন প্রত্যেকে। সে এক দুঃসহ টানাপোড়েন। হঠাৎই রুদ্ধকণ্ঠ খুলে গেল একদিন। আর তখনই জানা গেল এক চরমতম দুঃসংবাদ। ময়ূরাক্ষী অন্তঃসত্ত্বা। কিন্তু কার সন্তান তার গর্ভে? সুনীতের! হায়াৎ-এর! না চয়নের! কার? এই প্রশ্নের সূত্রেই উন্মোচিত নিগূঢ় প্রাণের এক উপাখ্যান। ময়ূরাক্ষী যা করেছে, তা একমাত্র তার পক্ষেই সম্ভব। ময়ূরাক্ষী বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বলতমা নারী, এক স্পর্ধী ব্যতিক্রম। বহুর ভিড়ে স্বাতন্ত্র্যচিহ্নিত উপন্যাস, ‘ময়ূরাক্ষী, তুমি দিলে’।
[Source: Ananda Publishers]
Reviews
There are no reviews yet.