প্রশান্ত নন্দী ছাপোষা মধ্যবিত্ত। চাকরি করেন, বেতন কম, ক’দিন পরেই অবসর নেবেন। স্ত্রী কল্যাণী মনে করেন, স্বামী অকর্মণ্য। পুত্র মাদল স্বভাবে ঠান্ডা, বুদ্ধিমান এবং ভাল। চাকরি করে এবং বনিবনা না হলে ছেড়ে দেয়। মেয়ে মধুলতা, লেখাপড়ায় মন নেই। কলেজে না গিয়ে শপিং মলে ঘুরে বেড়ায়। অর্থ উপার্জনে বিপথেও পা বাড়ায়। প্রশান্ত নন্দী জমিদার বংশের সন্তান। তিনি যুবক বয়েসে মায়ের প্রেমিকের বদান্যতায় চাকরি পান। বংশের প্রতিপত্তির রেশ উত্তরাধিকারীদের রক্তের মধ্যে কিছুটা থেকে গিয়েছে। সংসার, কর্মক্ষেত্রে তাচ্ছিল্য পেলেও, প্রশান্ত নিজেকে জমিদার বংশের একজন বলে ভাবতে ভালবাসতেন। একদিন একটি লোক এসে বলে, দুশো বছর আগের জমিদারবাড়ির কাছ থেকে মাটি খুঁড়ে একটি পাথরের দেবশিশুর ভাঙা ডানার অংশ পাওয়া গিয়েছে। যা অ্যান্টিক। জমিদারবাড়িটি নাকি প্রশান্তদের পূর্বপুরুষের। লোকটি চায়, পাথরের ডানাটি নিয়ে প্রশান্ত নন্দী শংসাপত্র দিন। তবেই অ্যান্টিক হিসেবে ডানাটি পাচার করা যাবে। ফলে প্রশান্ত কিছু টাকাও পেলেন। তাঁর ভিতরে জেগে উঠল জমিদারি বোধ। তারপর কী হল তাঁর? পরিবারের বাকিদের? অতীত এবং আধুনিক সময়কে নিয়ে ‘পাথরের ডানা’-র কাহিনি টানটান উত্তেজনার। তবে শুধুই লোভ নয়, এই কাহিনি মানুষের উত্তরণেরও।
[Source: Ananda Publishers]
Reviews
There are no reviews yet.