রবীন্দ্রনাথের ‘বাল্মীকিপ্রতিভা’য় এক অর্থে আছে হৃদয়ের জন্মান্তরের কথা। দস্যু রত্নাকরের কবি হয়ে ওঠাই এই গীতিনাট্যের উপজীব্য। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন ‘বাল্মীকিপ্রতিভা’ ‘গানের সূত্রে নাট্যের মালা’। এখানে সুরের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ছিলেন মুখ্য প্রেরণা। ‘জীবনস্মৃতি’-তে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, “জ্যোতিদাদা তখন প্রত্যহই প্রায় সমস্তদিন ওস্তাদি গানগুলাকে পিয়ানো যন্ত্রের মধ্যে ফেলিয়া তাহাদিগকে যথেচ্ছ মন্থন করিতে প্রবৃত্ত ছিলেন। তাহাতে ক্ষণে ক্ষণে রাগিণীগুলির এক-একটি অপূর্ব মূর্তি ও ভাবব্যঞ্জনা প্রকাশ পাইত।” বিশিষ্ট রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ সুভাষ চৌধুরীর ‘রবীন্দ্রনাথের বাল্মীকিপ্রতিভা’ গ্রন্থে উঠে এসেছে। বিহারীলাল, দ্বিজেন্দ্রনাথ, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ, হার্বার্ট স্পেনসার, ন্যান্সি লি প্রমুখ ব্যক্তিত্বের বিবিধ অনুপ্রেরণা প্রসঙ্গ। ‘বাল্মীকিপ্রতিভা: বাল্মীকি ও রামায়ণ’ পর্বটিও রসগর্ভ নিবেদন। এই গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে ‘বাল্মীকিপ্রতিভা’ প্রথম সংস্করণ। এছাড়া আছে গীতিনাট্যটির বিভিন্ন অভিনয় সম্পর্কিত তথ্য-সহ আরও কিছু বিষয়। রবীন্দ্র-গবেষণায় গ্রন্থটি একটি অমূল্য সংযোজন।
[Source: Ananda Publishers]
Reviews
There are no reviews yet.