নীলাদ্রি আপাতভাবে একজন সাধারণ যুবক। কাহিনির গোড়া থেকেই বোঝা যায় এই ছেলে আর পাঁচজনের মতো নয়। স্বভাবে ঠান্ডা। মূলত চুপচাপ। টেনশন করে না। বিয়ে করেনি। বেসরকারি অফিসে চাকরি করে। মায়ের মৃত্যুর পর বাবা আর বোনকে নিয়ে থাকে। সংসারের প্রতি দায়িত্ববান। একরোখা বাবা, রুক্ষ স্বভাবের বোনের প্রতি যত্নশীল। বাবা ভোগে অতীতের পাপবোধে। বোন বাবার অতীতকে ক্ষমা করতে পারে না। এর মাঝে নীলাদ্রির জীবনে আসে আনন্দী। শান্ত, শিক্ষিত, অভিজাত আনন্দী কলেজের শিক্ষিকা। স্বামী-পুত্রকে নিয়ে তার সুখের সংসার, তবু নীলাদ্রি তাকে কোথাও স্পর্শ করে ফেলে। আনন্দীর জীবনে সে তৈরি করে একধরনের মায়া। সেই মায়া কি থাকে? এদিকে নীলাদ্রি শান্ত থাকলেও জীবন শান্ত থাকে না। বোনের দাম্পত্য জীবনে শুরু হয় গোলমাল। বাবার সঙ্গে মেয়ের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। সব সামলাতে গিয়ে নীলাদ্রিও খানিকটা জেরবার। আর সেইসময় তার জীবনে ঘটে এক অদ্ভুত ঘটনা। ভয়ংকর ঘটনার মুখোমুখি হয় সে। বোঝা যায় নীলাদ্রি সাধারণ নয়। সে বিরল। ‘স্বপ্নের চড়াই’ উপন্যাসের নীলাদ্রির মতো মানুষ কি আর এই দুনিয়ায় থাকবে? না কি চড়াই পাখিদের মতো হারিয়ে যাবে একদিন?
[Source: Ananda Publishers]
Reviews
There are no reviews yet.