কেউ-কেউ বলত ‘টাঁড়বাঘোয়া’ কেউ-কেউ নাম দিয়েছিল ‘পিলাবাবা’। পালামৌর পলাশবনা বস্তির সকলেই দেখেছে ওকে, মানে বিশাল বাঘটাকে। বিস্তীর্ণ ফাঁকা মাঠ বা ‘টাঁড়’ দিয়ে সকাল-সন্ধে যাতায়াত করত বলেই নাম হয়েছিল ‘টাঁড়বাঘোয়া’। আর বাঘটার গায়ের রং যেহেতু ছিল হলুদ, তাই অনেকে বলত ‘পিলাবাবা’। পাহাড়ে-জঙ্গলে ঘেরা পলাশবনার দু’জন রাজার একজন ছিল এই টাঁড়বাঘোয়া। অন্যজন ছিল মানুষরাজা— তার নাম টিকায়েত। দু’জনেই দু’জনকে দারুণ সমীহ করে চলত। কিন্তু হঠাৎই হল ভুল বোঝাবুঝি। আর তারই মর্মান্তিক পরিণতি নিয়ে এই দুর্দান্ত শিকারকাহিনী লিখেছেন বুদ্ধদেব গুহ।
এ-কাহিনীর নায়ক কিন্তু ঋজুদা নয়, রুদ্রও নেই এই গল্পে। লেখকের নিজেরই ছেলেবেলার একটি দারুণ অভিজ্ঞতার গল্প— ‘টাঁড়বাঘোয়া’। কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে পড়া আরেক বন্ধু টেডকে নিয়ে পলাশবনায় পাখি শিকার করতে গিয়ে ‘মানুষখেকো’ মারবার অনুরোধ এল কী অদ্ভুতভাবে, আর সেই অনুরোধ রাখতে গিয়ে কত রোমাঞ্চকর সব অভিজ্ঞতা হল একের পর এক, তারই উৎকণ্ঠা-উদ্বেল ঝকঝকে কাহিনী ‘টাঁড়বাঘোয়া’। ‘টাঁড়বাঘোয়া’র পাতায়-পাতায় ছবি, এঁকেছেন সঞ্জয় ভট্টাচার্য।
[Source: Ananda Publishers]
Reviews
There are no reviews yet.